Click Below

Breaking

Know more

Search

সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৩

Madhyamik History || ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার পর বাংলা ছাপাখানা গুলিতে কি ধরনের বই পত্র ছাপা হত?




 দশম শ্রেণীর ইতিহাস


 বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা 


প্রশ্ন, ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার পর বাংলা ছাপাখানা গুলিতে কি ধরনের বই পত্র ছাপা হত?

অথবা,

পুস্তক ছাপার মাধ্যমে ছাপাখানা কিভাবে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে?


ভূমিকা - ইউরোপীয়রা প্রথম দিকে নিজেদের ধর্মীয় কার্যকলাপের প্রসার, সংবাদপত্র মুদ্রণ প্রভৃতির উদ্দেশ্যে ভারতে মুদ্রণযন্ত্র বা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীকালে ছাপাখানায় বিভিন্ন ধরনের বই পত্র ছাপা হতে থাকে। ফলে ছাপাখানার কাজ একটি সমৃদ্ধ ব্যবসা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।


বর্ণ শিক্ষার বই:- বাংলায় ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা ও প্রসাসের পরবর্তীকালে শিশুদের বর্ণপরিচয় ও বর্ণ শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের বই ছাপাখানা গুলিতে ছাপা শুরু হয়। এই সময় মদনমোহন তর্কালংকারের "শিশু শিক্ষা" ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় প্রভৃতির হাজার হাজার কপি মুদ্রণ ও বিক্রি হয়। ১৮৬৯ থেকে ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই সময়কালের মধ্যে ৪১ লক্ষের বেশি শিশু শিক্ষার বই ছাপা হয়। এসব বই বিক্রি করার ফলে ছাপার ব্যবসা যথেষ্ট লাভজনক হয়ে ওঠে।


স্কুলের পাঠ্য বই:- অষ্টাদশ শতক থেকে বাংলায় বিদ্যালয় স্তরে শিক্ষার যথেষ্ট প্রসার ঘটে। এই স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষ লাভের জন্য প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক সাহিত্য, গণিত, প্রকৃতি বিজ্ঞান, জীববিদ্যা, ইতিহাস, ভূগোল প্রভৃতি বিষয়ে পাঠ্য বইয়ের প্রয়োজন হয়। ছাপাখানার মালিকরা পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের উপযোগী সহায়িকা বইও ছাপতে থাকে। ছাপাখানা গুলি এসব বই ছেপে ও বিক্রি করে আর্থিকভাবে যথেষ্ট লাভবান হয়। এর ফলে তাদের ব্যবসারও প্রসার ঘটে।


অন্যান্য বই পত্র:-ছাপাখানার মালিকরা সাধারণ পাঠকদের জন্য সাহিত্য, উপন্যাস, কবিতা, নাটক, গানের বই, ভ্রমণ কাহিনী, ধর্ম বিষয়ক বই, অনুবাদ গ্রন্থ, পঞ্জিকা, ভারত ও ইউরোপের নানা ঘটনা বিষয়ক গ্রন্থ, গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রভৃতি প্রকাশ করতে থাকেন এসব বইপত্র বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে এবং তাদের ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।


আরো পড়ুন:- বাংলায় গণ শিক্ষার প্রসারে শ্রীরামপুর মিশন ছাপাখানার ভূমিকা কি? CLICK HERE


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Click Here