Click Below

Breaking

Know more

Search

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩

১৯৪২-এর আগস্ট আন্দোলন সম্বন্ধে একটি নিবন্ধ লেখো || ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারতছাড়ো আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।





১৯৪২-এর আগস্ট আন্দোলন সম্বন্ধে একটি নিবন্ধ লেখো।


অথবা, 


১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারতছাড়ো আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।


ক্রিপস মিশন ব্যর্থ হলে সমস্ত ভারতবাসী চরম হতাশা ও ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ব্রিটিশ এর প্রতি সমস্ত মোহ কাটিয়ে উঠে গান্ধীজীর ব্রিটিশ বিরোধী চিন্তা ভাবনা শুরু করেন। তিনি তার "হরিজন" পত্রিকায় লেখেন -

 "জাপানি আক্রমণ থেকে ভারতকে রক্ষা করার জন্য ব্রিটেনের উচিত অবিলম্বে ভারত ত্যাগ করা, ব্রিটেনের উপস্থিতিই জাপানকে ভারত আক্রমণের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ব্রিটেনের ভারতত্যাগের পরেও যদি জাপান আক্রমণ হয় তবে ভারতবাসীরা নিজেরাই প্রতিরোধ করবে।" 


ভারত ছাড়ো প্রস্তাব গ্রহণ:- 

১৯৪২ এর ১৪ই জুলাই কংগ্রেস কার্যনিরবাহক সমিতি ভারতছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব গ্রহণ করে। গান্ধীজী ঘোষণা করেন- "করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে"। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৯ আগস্ট আন্দোলন শুরু হবে।


নেতৃবৃন্দদের গ্রেপ্তার:- 

৮ আগস্ট মধ্যরাতে গান্ধীজি, জহরলাল নেহেরু, বল্লভ ভাই প্যাটেল এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের পুলিশ গ্রেফতার করে। জাতীয় কংগ্রেসকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।


আন্দোলনের সূচনা:- ৯ আগস্ট সারাদেশে জাতীয় নেতৃবৃন্দদের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশবাসী প্রতিবাদ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভারতবাসী সভা সমিতি, শোভাযাত্রা ও হরতাল পালনের মাধ্যমে তাদের প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে। কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণী, ছাত্রসমাজ আগস্ট আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। গান্ধী বুড়ি নামে খ্যাত তমলুকের ৭৩ বছর বয়স কা মাতঙ্গিনী হাজরা সহ আরো অনেক নারী পুলিশের গুলিতে নিহত হন।


আন্দোলনের ব্যাপ্তি - এই আন্দোলন প্রথমে বোম্বাই, আমেদাবাদ, নাগপুর, পুনা, কলকাতা, কানপুর পবিত্র শহরে শুরু হয়। বিহারের ভাগলপুর, উড়িষ্যার বালেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এই আন্দোলনের মূল কেন্দ্র গড়ে ওঠে।


স্বাধীন সরকার:- মেদিনীপুরের তমলুক মহাকুমা, কাঁথি মহাকুমার পটাশপুর ও খেজুরি থানা, দিনাজপুরের বালুরঘাট, মহারাষ্ট্রের সাতারা, উড়িষ্যার তালচের, উত্তরপ্রদেশের আজমগড় প্রভৃতি স্থানে বিকল্প স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তমলুক বা তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সর্বনিধায়ক ছিলেন সতীশচন্দ্র সামন্ত। নন্দীগ্রাম ও তমলুক এই দুটি থানা জাতীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল।


সরকারের দমননীতি:- আন্দোলন দমনের জন্য সরকার নিষ্ঠুর দমন্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে। গ্রেপ্তার, জরিমানা, প্রহার, লাঠি, গুলি প্রভৃতি ছিল সাধারণ ব্যাপার। সারাদেশে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর তাণ্ডব শুরু হয়। খুন, লুণ্ঠন, গৃহে অগ্নিসংযোগ ও নারীর সতিত্ব হরণ করে সরকার এই বিদ্রোহ দমনের চেষ্টা করে। সরকারি হিসেব থেকে জানা যায় পুলিশ ৫৩৮ টি জায়গায় গুলি চালিয়ে ১০২৪ জন কে হত্যা করে এবং ৩০০০ জন কে আহত করে।


ব্যর্থতার কারণ:- CLICK HERE

আন্দোলনের গুরুত্ব:- CLICK HERE

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Click Here