Click Below

Breaking

Know more

Search

বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৩

ভারতছাড়ো আন্দোলনে নারীর ভূমিকা আলোচনা করো? || মাধ্যমিক ইতিহাস - বড় প্রশ্ন

 



প্রশ্ন, ভারতছাড়ো আন্দোলন পর্বে (১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে) নারী আন্দোলনের পরিচয় দাও?


উঃ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৭ই আগস্ট বোম্বাই শহরে কংগ্রেসের অধিবেশনে "ভারতছাড়ো আন্দোলনের" প্রস্তাব গৃহীত হয়। গান্ধীজী জাতির উদ্দেশ্যে বলেন যে, "করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে"। তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশদের ভারত ত্যাগ এবং ভারতীয়দের পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া দেশবাসী সন্তুষ্ট হবে না।এই ভারতছাড়ো আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


নারীদের যোগদান:- আন্দোলন ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যেই ভারতীয় স্তরের প্রায় সব নেতাকে গ্রেফতার করা হলে সর্বস্তরের ভারতবাসীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অসংখ্য নারীরাও সক্রিয়ভাবে এই আন্দোলনে শামিল হয়।


জাতীয় স্তরে আন্দোলন:- জাতীয় স্তরের সুচেতা কৃপালনী, নন্দিতা কৃপালনী ও অরুনা আসফ আলি নারীদের সংগঠিত করে এই আন্দোলনে সামিল করেন। তার নেতৃত্বে বোম্বাই-এ এই আন্দোলন প্রবল আকার ধারণ করে।


বাংলায় আন্দোলন:- ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বাংলার নারীদের অংশগ্রহণ বিশেষ গৌরবজনক ছিল। মেদিনীপুরের তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সঙ্গে যুক্ত নারীরা ভগিনী সেনা গঠন করে। কৃষক পরিবারের ৭৩ বছরের বৃদ্ধা গান্ধিবাদী মাতঙ্গিনী হাজরা মেদিনীপুরের তমলুক থানা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন। তারপর থেকেই তিনি "গান্ধী বুড়ি" নামে পরিচিত হন। এছাড়া রানিচন্দ্র, এলা দত্ত, সুনিতা সেন, লাবণ্যপ্রভা দত্ত, মায়া ঘোষ প্রমুখ বঙ্গনারী ভারতছাড়ো আন্দোলনকে শক্তিশালী করে তোলেন।


আসাম ও পাঞ্জাবে আন্দোলন:- আসামের কিশোরী কনক লতা বড়ুয়া, পাঞ্জাবের গৃহবধূ ভোগেশ্বরী ফুকোননী, ঊষা মেহতা প্রমুখ নারী ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ঊষা মেহতা গোপনে কংগ্রেসের বেতার কেন্দ্র পরিচালনা করেন।


আরো পড়ুন:- আইন অমান্য আন্দোলনে নারীর ভূমিকা? CLICK HERE


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Click Here