Click Below

Breaking

Know more

Search

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩

B.A. HISTORY HONOURS - 1ST SEMESTER || হরপ্পা সভ্যতা - ছোট প্রশ্ন ও উত্তর।




হরপ্পা সভ্যতা *


গুরুত্বপূর্ণ ছোট প্রশ্ন সংকলন



• অতি সংক্ষিপ্ত ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর:- 

১| হরপ্পা সভ্যতার সময়কাল কি?

আনুমানিক ৩২০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ।


২|হরপ্পা সভ্যতার সময়কাল কিভাবে নির্ণয় করা হয়েছে?

হরপ্পা উপত্যকা ও মেসোপটেমিয়ায় প্রাপ্ত পুরা বস্তুর মধ্যে সাদৃশ্য ও মাটির তৈরি পাত্র গুলির রং বিশ্লেষণ করে এবং জৈব বস্তুর 'কার্বন-১৪' পরীক্ষা পদ্ধতির দ্বারা হরপ্পা সভ্যতার সময়কাল চিহ্নিত হয়েছে।


৩|ভারতে প্রথম কোথায় নাগরিক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল?

ভারতের সিন্ধু নদীর উপত্যকা অঞ্চলে প্রথম নাগরিক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। এই সভ্যতাকে বলা হয় ভারতের প্রথম নগরায়ন।


৪|হরপ্পা সভ্যতার ইতিহাসের প্রধান উপাদান কি?

হরপ্পা সভ্যতার ইতিহাসের প্রধান উপাদান - পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন।


৫|হরপ্পা নগরের উৎখনন কে করেন? কোন নদীর তীরে হরপ্পা অবস্থিত ছিল?

১৯২০ খ্রিস্টাব্দে দয়ারাম সাহানী। রাভী নদীর তীরে হরপ্পা অবস্থিত ছিল।


৬|মহেঞ্জোদারো নগরের উৎখনন কে করেন?

১৯২১ খ্রিস্টাব্দে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।


৭|স্থানীয় ভাষায় মহেঞ্জোদারো শব্দের অর্থ কি? মহেঞ্জোদারো কোন নদীর তীরে অবস্থিত ছিল?

স্থানীয় ভাষায় মহেঞ্জোদারো শব্দের অর্থ 'মৃতের স্তুপ'।

মহেঞ্জোদার সিন্ধু নদীর তীরে অবস্থিত ছিল।


৮|বর্তমান ভারতে অবস্থিত পাঁচটি হরপ্পা সভ্যতা নগরের উল্লেখ কর?

গুজরাটের - লোথাল, 

সারকোটাডা, 

রাজস্থানের - কালিবঙ্গান,

পাঞ্জাবের - রোপার।


৯|লোথাল ও কালিবঙ্গান কোন কোন নদীর তীরে অবস্থিত ছিল?

লোথাল ভোগাবর নদীর তীরে গুজরাট রাজ্যে অবস্থিত ছিল। কালিবঙ্গান ঘর্ঘর নদীর তীরে রাজস্থান রাজ্যে অবস্থিত ছিল।


১০|হরপ্পা সভ্যতার কোন শহরকে বন্দর নগর বলা হয়?

পোতাশ্রয় থাকার কারণে হরপ্পা সভ্যতার লোথাল শহরকে বন্দরনগর বলা হয়।


১১|হরপ্পা সভ্যতার কোন নগরে বৃহৎ স্নানাগার ও কোন নগরে একটি বৃহৎ শস্যাগার পাওয়া গিয়েছে?

হরপ্পা সভ্যতার মহেঞ্জোদারো নগরে বৃহৎ স্নানাগার পাওয়া গিয়েছে। আর হরপ্পা সভ্যতার হরপ্পা নগরে একটি বৃহৎ শস্যাগার পাওয়া গিয়েছে।


১২|হরপ্পা সভ্যতার কোন কোন ধাতুর ব্যবহার দেখা যায়? এই সভ্যতায় কোন ধাতুর ব্যবহার সব থেকে বেশি হত? কোন ধাতুর ব্যবহার হরপ্পবাসীদের অজানা ছিল?

হরপ্পা সভ্যতায় রূপা, তামা, ব্রোঞ্জ ও সোনার ব্যবহার দেখা যায়। হরপ্পা সভ্যতায় তামা ও ব্রোঞ্জ ধাতুর ব্যবহার সব থেকে বেশি হতো। লোহার ব্যবহার হরপ্পবাসীদের অজানা ছিল।


১৩| হরপ্পা সভ্যতার বাড়ি গুলির প্রধান উপাদান কি ছিল?

আগুনে পোড়ানো ও রোদে শুকানো কাদামাটির ইট এবং ইট আটকাবার জন্য ব্যবহার হতো চুন, জিপসামের মিশ্রণ ও কাদামাটি। বাড়ির ছাদ, মেঝে ও প্রবেশ পথ তৈরি হতো কাঠ দিয়ে।


১৪|হরপ্পা সভ্যতা মানুষের প্রধান জীবিকা কি ছিল?

কৃষি।


১৫|হরপ্পা সভ্যতার ধর্মীয় জীবনের বৈশিষ্ট্য কি ছিল?

হরপ্পা সভ্যতার ধর্মীয় জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল তাদের মাতৃপূজা। বিভিন্ন শিল্পমহরে উৎকীর্ণ মূর্তি থেকে ঐতিহাসিকরা অনুমান করেছেন যে, সিন্ধু সভ্যতায় ষাঁর সহ বিভিন্ন পশু এবং বৃক্ষদের উপাসনা করা হতো।


১৬| হরপ্পা সভ্যতা কত দূর বিস্তৃত ছিল?

উত্তরের জম্মু থেকে দক্ষিণে নর্মদার মোহনা, পশ্চিমে বালুচিস্তানের মাকরান উপকূল থেকে উত্তরপ্রদেশের আলমগীর পুর পর্যন্ত অঞ্চলে হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় 1100 কিলোমিটার ও উত্তর দক্ষিণে প্রায় 1600 কিলোমিটার অঞ্চলে হরপ্পা সভ্যতা বিস্তৃত ছিল।


১৭|হরপ্পা সভ্যতায় "নগর সভ্যতার" প্রমাণ হিসেবে দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর?

ক) প্রশস্ত ও সোজা পথে দুই ধারে পরিকল্পিত নগরায়ন।

খ) উন্নত পর প্রণালী ব্যবস্থা।

এই দুই হচ্ছে নগর সভ্যতার দুটি বড় বৈশিষ্ট্য যা হরপ্পা সভ্যতায় বর্তমান ছিল।


১৮|হরপ্পা সভ্যতার টেরাকোটা শিল্পের বৈশিষ্ট্য কি?

হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রচুর পরিমাণে পোড়ামাটির বা টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে - মানুষ ও পশু পাখির মূর্তি, খেলনা প্রভৃতি। মানুষের মধ্যে নারীর মূর্তি বেশি পাওয়া গিয়েছে। এই নিদর্শন গুলির মধ্যে শিল্পৎকর্ষের পরিচয় পাওয়া যায় না।


১৯|হরপ্পা সভ্যতার লিপির সম্পর্কে কি জানো লেখো?

হরপ্পা সভ্যতায় প্রাপ্ত 400-এর বেশি লিপির ধরণ দেখে ঐতিহাসিকরা অনুমান করেছেন যে, এই লিপির উদ্ভব চিত্রলিপি থেকে হলেও লিপি চিহ্ন গুলি নির্দিষ্ট ধনীর পরিচয়ক। এই লিপির প্রধান বৈশিষ্ট্য অক্ষর গুলির স্পষ্টতা। হরফ গুলির বিন্যাস ডান দিক থেকে বাঁদিকে। এই লিপির পাঠোদ্ধার এখনো সম্ভব হয়নি।


২০|পারস্য উপসাগর অঞ্চলের সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রমাণ উল্লেখ কর?

পারস্য উপসাগরে বাহরিণে আবিষ্কৃত হয়েছে হরপ্পা সভ্যতা বা তার অনুসারী বিভিন্ন বস্তু - নকশা কাটা কর্নলিয়ান পুঁতি, ঝিনুক, পাত্র। অন্যদিকে এখানকার ওজন করার পদ্ধতি ছিল হরপ্পিও ওজন ব্যবস্থার অনুসারী। তাছাড়া বাহরিন অঞ্চলের কিছু শিল্পদ্রব্যে হরপ্পা সভ্যতার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এইসব প্রমাণের ভিত্তিতে বলা হয় পারস্য উপসাগর অঞ্চলের সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল।


২১|সুমেরীয় বা মেসোপটেমিয়ার সভ্যতার সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার কি কি বিষয়ে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়?

সুমেরীয় সভ্যতা ও হরপ্পা সভ্যতার মধ্যে সাদৃশ্য:- 

ক) উভয় সভ্যতাই নদীমাতৃক।

খ) উভয় সভ্যতায় পোড়ামাটি ব্যবহার ছিল।

গ) উভয় সভ্যতায় লিপির ব্যবহার ছিল।


বৈসাদৃশ্য:- 

ক) হরপ্পা সভ্যতার নগরগুলি অনেক বেশি পরিকল্পিত ও আকারে বড় ছিল।

খ) উভয় সভ্যতার লিপির প্রকৃতি ছিল ভিন্ন।

গ) সুমেরের পয়:প্রণালী ব্যবস্থা হরপ্পার মত উন্নত ছিল না।


আরো পড়ুন:- B.A HISTORY HONOURS - প্রাক্ হরপ্পা সময়কাল ও ভারত || মধ্য প্রস্তর যুগ ও নব্য প্রস্তর যুগ - ছোট প্রশ্ন CLICK HERE


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Click Here