উচ্চমাধ্যমিক দর্শন – বচন | দ্বিতীয় অধ্যায় - (অবরোহমূলক তর্কবিদ্যা) বড়োপ্রশ্ন ও উত্তর ।
১) নিরপেক্ষ বচন কাকে বলে? নিরপেক্ষ বচনের গুণ ও পরিমাণ বলতে কী বোঝো? নিরপেক্ষ বচনের চতুর্বর্গ ব্যাখ্যা করো?
নিরপেক্ষ বচন:-যে প্রকার বচনের বিধেয় পদটি কোনো শর্তের উপর নির্ভর না করে, উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে কোনো কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করে, তাকে নিরপেক্ষ বচন বলে।
যেমন: সকল কবি হয় ভাবুক।
পরিমাণ:- একটি নিরপেক্ষ বচনের উদ্দেশ্য পদটি সর্বদাই কোনো একটি জাতি বা শ্রেনীকে নির্দেশ করে। এই উদ্দেশ্য পদ দ্বারা নির্দেশিত জাতী বা শ্রেণীর কতটুকু অংশ গৃহীত হয়েছে, তাকে পরিমাণ বলা হয়।
পরিমাণ দু'প্রকার। যথা-
১) সামান্য
২) বিশেষ
গুন:-একটি নিরপেক্ষ বচনের বিধেয় পদটি সর্বদায় উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে কোন কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করে। এই স্বীকার বা অস্বীকার কে গুন বলে। গুন ২ প্রকার। যথা-
১) সদর্থক গুন।
২) নঞর্থক গুন।
নিরপেক্ষ বচনে চতুর্বর্গ:- পরিমাণের দিক থেকে নিরপেক্ষ বচন কে দুই ভাগে ভাগ করা হয় যথা-সামান্য ও বিশেষ। আবার গুণের দিক থেকে নিরপেক্ষ বচন কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা-সদর্থক ও নঞর্থক। এই গুণ ও পরিমাণ উভয়কে একত্রিত করে, তর্কবিদ অ্যারিস্টটল নিরপেক্ষ বচন কে চারটি ভাগে ভাগ করেছেন। এই চারটি ভাগ হলো-
১) সামান্য সদর্থক (A)
উদাহরণ - সকল মানুষ হয় মরণশীল।
২) সামান্য নঞর্থক (E)
উদাহরণ - কোনো মানুষ নয় চতুষ্পদী।
৩) বিশেষ সদর্থক (I)
উদাহরণ - কোন কোন মানুষ হয় জ্ঞানী।
৪) বিশেষ নঙর্থক (O)
উদাহরণ - কোন কোন ফুল নয় গন্ধযুক্ত।
আরো পড়ুন :- পদের ব্যাপ্যতা বলতে কী বোঝো ?বিভিন্ন প্রকার নিরপেক্ষ বচনের কোন কোন পদ ব্যাপ্য ও অব্যাপ্য উদাহরণ সহযোগে দেখাও? CLICK HERE
আরো পড়ুন:- 2022 উচ্চ মাধ্যমিক সাজেশন-CLICK HERE
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন